কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
কলা পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ফল। পুষ্টিগুণ এবং সুস্বাদু হাওয়ায় কলা
আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অন্যতম স্থান পেয়েছে। কলায়
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে যেমন, ভিটামিন, খনিজ,
এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।এই উপাদানগুলো আমাদের দেহের জন্য খুব
প্রয়োজন। কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা
হল
কলা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে শাহাজ্জ করে। এবং হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
কলার উপকারিতা
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হার শক্ত করে, এবং উন্নত করে।
এবং ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁতের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
তাহলে জেনে নেই কলায় কি কি উপাদান রয়েছে -
১. নিয়মিত কলা খেলে ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ কলাতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যা আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল কে কম করতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের শরীরের কোষগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
২. এছাড়াও কলাতে আরো রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন ই, যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেম বৃদ্ধি কোরে।
৩. এছাড়াও কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এ পটাশিয়াম আমাদের শরীরের রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করে।
৪.যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং খেলাধুলা করেন তাদের জন্য কলা একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় ফল। ব্যায়াম করে বা খেলাধুলা করে শরীর থেকে অনেক মাত্রায় ঘাম নির্গত হয়। যার ফলে আমাদের শরীর থেকে কিছুটা পরিমাণ ইলেকট্রোলাইটস অথবা খনিজ উপাদাণ ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল বা খনিজ উপাদান রয়েছে যেমন, ক্যালসিয়া্ সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি।
৫. যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের পাকা কলা খাওয়া উচিত। এতে ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৬. যারা পেট খারাপের সমস্যায় ভুগছেন তিনারা কাঁচকলা খেলে উপকার পাবেন। কলায় পটাশিয়াম মিনারের ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ। তবে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকার কারণেই যাদের অশোকের কারণে পটাশিয়াম খাওয়া বারণ বা নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে তাদের কলা না খাওয়াই ভালো।
৭. যাদের ওজন খুব কম তাদেরকে কলা খেতে বলা হয়। কারণ কলায় ক্যালরির পরিমাণ অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক বেশি তাই কলা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
৮. কলা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কারণ কলায় লেকটিন নামক প্রোটিন থাকায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ নিউকোমিয়া বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
৯.যদি আপনার শরীর খুব দুর্বল মণে হয় তাহলে তাড়াতাড়ি শক্তি যোগানোর জন্য কলা খেতে পারেন কলায় থাকা পটাশিয়াম খুব দ্রুত শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
Ahjsকলার অপকারিত।
১. রাতে কলা খেলে অনিদ্রার সমস্যা হতে পারে। তাই রাতে কলা
না খাওয়াই ভালো।
২. ঠান্ডা লাগলে কলা না খাওয়াই ভালো। তার কারণ কলা বেশি পরিমাণ খেলে
আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেড়ে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হোবে।
৩.
অতিরিক্ত কলা খেলে আমাদের শরীরের ওজন বাড়তে পারে।
৪. কলায় সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট অনেক বেশি পরিমাণ থাকে, তাই
বেশি কলা খেলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে।
১. রাতে কলা খেলে অনিদ্রার সমস্যা হতে পারে। তাই রাতে কলা না খাওয়াই ভালো।
২. ঠান্ডা লাগলে কলা না খাওয়াই ভালো। তার কারণ কলা বেশি পরিমাণ খেলে আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেড়ে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হোবে।
৩. অতিরিক্ত কলা খেলে আমাদের শরীরের ওজন বাড়তে পারে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url