ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ। ড্রাগন ফলে কি কি ভিটামিন আছে?
শরীরে সঠিক পরিমাণ পুষ্টিনিশ্চিত করতে দৈনিক খাদ্য তালিকায় নানা
ধরনের ফল ও শাকসবজি রাখা দরকারএরকম একটি ফল হল ড্রাগন গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি সাদা
ও লাল মাংস যুক্ত নানা জাতের হয় এই ড্রাগন ফলে রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ।
ড্রাগন ফলে কি কি পুষ্টিগুণ আছে তা আমাদের জেনে রাখা উচিত। আর্টিকেল পড়ে আপনারা
জানতে পারবেন ড্রাগন ফলে কি কি পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্র। ড্রাগন ফলে কি কি পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন রয়েছে
ড্রাগন ফোনে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে
ড্রাগন ফল দুই প্রকার
১.সাদা মাংসযুক্ত ড্রাগন ফল
২.লাল মাংস যুক্ত ড্রাগন ফল
আরও পড়ুনঃমোবাইল হ্যাং করলে কি করবেন
সাদা মাংস যুক্ত ড্রাগন ফল:প্রতি 100 গ্রাম ড্রাগন ফলে ৬০ গ্রাম ক্যালরি রয়েছে,৮
থেকে ১২ গ্রাম চিনি,৯ থেকে ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট,১ থেকে ২ গ্রাম ডায়াটেরি
ফাইবার,১ থেকে ২ গ্রাম প্রোটিন,ও ১ গ্রাম চর্বি রয়েছে।
লাল মাংস যুক্ত ড্রাগন ফল :প্রতি ১০০ গ্রাম লাল ড্রাগন ফলে আছে
৫০থেকে ৬০ গ্রাম ক্যালরি ৯ থেকে ১৪ কার্বোহাইড্রেট কার্বোহাইড্রেট, ১ থেকে
২ গ্রাম ডায়েটারি ও ফাইবার, ৮ থেকে ১২ গ্রাম চিনি১ থেকে ২ গ্রাম প্রোটিন,
১গ্রামের কম চর্বি।
ড্রাগন ফল কি কি ভিটামিন রয়েছে
ড্রাগন ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে।
যেমন :
রয়েছে ভিটামিন,ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), ভিটামিন বি২ (রিভফ্লাভিন),ভিটামিন বি৩
(নিয়াসিন),ক্যালসিয়াম, ফসফরাস অল্প পরিমাণে রয়েছে আরো অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ
রয়েছে।
আর পরুনঃঅনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট।
ড্রাগন ফল খেলে কি কি উপকার হয়
ড্রাগন ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ থাকায় আমাদের শরীরের জন্য
বেশ উপকারী। ড্রাগন ফল আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়।
ড্রাগন ফল যে সমস্ত রোগের ঝুঁকি কমায় সেগুলো হল
আর পড়ুনঃবাংলাদেশের ট্যাবের দাম কত টাকা
.আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
.ক্যান্সারের ঝুকি কমায়
.হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
.চুল পড়া বন্ধ করে
.ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
.বয়সের ছাপ দূর করে
.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
.রক্ত চলাচল সঠিকভাবে বজায় রাখে
.হাটকে সুস্থ রাখে
.হার কে শক্তিশালী মজবুত করে
.চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
ড্রাগন ফল কিভাবে খাবেন
ড্রাগন ফল খাওয়ার পদ্ধতি:জুস করে খাওয়া যেতে পারে,এজন্য প্রথমে খোসা ফেলে দিয়ে
কেটে ব্যালেন্ডার দিয়ে জুস করে নিতে হবে।চাইলে সালাত করেও খেতে পারেন।আবার
সাধারণ ফলের মত কেটে সরাসরি খাওয়া যায়।তবে সবজির মত রান্না করে না খাওয়াই
ভালো।কারণ তাপে এর ভেতরের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সতর্কতা
ড্রাগন ফল খেলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে। যদি এলার্জি সমস্যা হয় তাহলে
ড্রাগন ফল না খাওয়াই ভালো। এমনকি অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে ডায়রিয়া হতে
পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ
নেয়া উচিত। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের
পরামর্শ নেওয়া উচিত। লাল ড্রাগন ফল খেলে প্রসাব লাল হতে পারে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url