আজকের দিনের কম্পিউটার মাউস যেভাবে উদ্ভাবিত হয়েছিল

বর্তমান বিশ্বের বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো মাউস। বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যবহার অতুলনীয়। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎস, ব্যবসা পাতি, ট্রাভেলিং, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়ে। আর এই কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে দেয় শুধুমাত্র একটি মাউস। আজকের দিনের কম্পিউটার মাউস যেভাবে উদ্ভাবিত হয়েছিল তা আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কম্পিউটারের প্রথম যে মাউসটি ব্যবহৃত হয়েছিল তা 1961 সালের ঐদিকে ডগলাস এঞ্জেলবার্ট একটি কনফারেন্সে বক্তৃতার সময় প্রদর্শন করেন। তখনকার সেই মাউসটিতে ব্যবহৃত হয়েছিল ঘূর্ণায়মান চাকা। এটি দেখতে ছিল প্ল্যানিংমিটার নামক যান্ত্রিক এলাকার পরিমাপক যন্ত্রের মত। মূলত এটি কম্পিউটারের প্রথম মাউস। 

আধুনিক কম্পিউটার বিশ্বকে করে দিয়েছে হাতের মুঠোয়। ঘরে বসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরাফেরা করা যাচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খবর আদান প্রদান করা যাচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজনেস সব ক্ষেত্রে আধুনিক কম্পিউটার এক অতুলনীয় অবদান রাখছে। আজকের দিনের কম্পিউটার মাউস যেভাবে উদ্ভাবিত হয়েছিল ঠিক সেভাবেই একদিন উদ্ভাবিত হয়েছিল আধুনিক কম্পিউটার। আধুনিক কম্পিউটারে মাউসের ব্যবহার অনেক। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাউস পাওয়া যায়।

যেমন অপটিক্যাল মাউস, ম্যাগনেটিক মাউস, আরো বিভিন্ন ধরনের মাউস পাওয়া যায়। আধুনিক কম্পিউটারে এই মাউস গুলো খুব ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তেমন একটা মাউসের ব্যবহার হয় না কিন্তু কম্পিউটারের ক্ষেত্রে মাউস অপরিহার্য। বর্তমানে জনপ্রিয় মাউস ওয়্যারলেস মাউস। আধুনিক কম্পিউটারের মাউসের ব্যবহার তাহলে জানতে পারলেন। 

মাউস এর ইতিহাস আমরা কম বেশি অনেকেই জানি আবার জানি না। তবে আজকে আমি আপনাদের সামনে ক্লিয়ার করে দিব। আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন আজকের দিনের কম্পিউটার মাউস যেভাবে উদ্ভাবিত হয়েছিল তা সম্পর্কে। কম্পিউটার মাউস প্রধানত তৈরি করেছিলেন দুইজন বিজ্ঞানী। তারা হলেন উইলিয়াম ইংলিশ এবং ডগলাস অ্যাঞ্জেলবার্ট। মূলত এই দুজন ব্যক্তি মাউস তৈরির সাথে যুক্ত। আজকের দিনের কম্পিউটার মাউস যেভাবে উদ্ভাবিত হয়েছিল তার অনেক ইতিহাস আছে।

উইলিয়াম ইংলিশ নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি তার কর্মজীবন শেষ করে স্টানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন এবং সেখানে ডগলাস এঞ্জেলবার্ট এর সাথে কাজ করা শুরু করেন। কাজ করার একপর্যায়ে তারা মাউস আবিষ্কার করে ফেলেন এবং মাউস আবিষ্কারের মূল সিদ্ধান্ত এবং ধারণা ছিল ডগলাস এঞ্জেলবার্টের। মাউস তৈরির কারিগরি কাজে সাহায্য করেন উইলিয়াম ইংলিশ। তখনকার সময়ের মাউস অনেক বড় ছিল। ডগলাস অ্যাঞ্জেলবার্ট ও উইলিয়াম ইংলিশ তাদের মাউস তৈরির প্রজেক্ট শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করতে পেরেছিল।

মাউস আবিষ্কারের গুরুত্ব আমরা তখনই বুঝি যখন আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাউস ব্যবহার করে থাকি। আজকের দিনের কম্পিউটার মাউস যেভাবে উদ্ভাবিত হয়েছিল সে সম্পর্কে  আমরা উপরে আলোচনা করলাম। কম্পিউটারের যত ইনপুট ডিভাইস আছে তার মধ্যে মাউসের গুরুত্ব অপরিসীম কারণ মাউস ছাড়া কম্পিউটারকে অচল ঘোষণা করা যায়। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলেও ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে মাউস ছাড়া চলে না। 

কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মের সাথে মাউস জড়িত। মাউসের মাধ্যমে কম্পিউটারকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। মাউস একপ্রকার ইনপুট ডিভাইস এবং মাউসের লেফট বাটন এবং রাইট বাটন এর মাধ্যমে সব ধরনের কাজ হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ের কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের মাউস ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে ওয়্যারলেস মাউস বেশি ব্যবহৃত হয়। এক কথায় বলা যায় মাউস আবিষ্কারের গুরুত্ব একেবারে অপরিসীম। 

প্রিয় পাঠক, আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি আজকের দিনের কম্পিউটার মাউস যেভাবে উদ্ভাবিত হয়েছিল তার সম্পর্কে। আপনাদের বোঝার স্বার্থে আমরা বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছি। আশা করি আপনারা ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। তারপরেও যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি বিভিন্ন বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। জব আইডি ২৫৫৯১.