শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয় তা জেনে নিন
শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয় কি এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয় কি এই বিষয়ে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয় কি এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই।
আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি শিশুর দাঁত না উঠলে কি করতে হবে সহ আরো অনেক বিষয়ে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয়
ভূমিকা | শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয়
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয় কি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এর সাথে সাথে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ এবং শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময় সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। কাজেই আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের প্রত্যেকের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই বিষয়গুলো জানার জন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহ দীর্ঘদিনের। এখন আমরা বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে জানব। বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণ গুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে বাচ্চার দাঁত উঠতে পারে। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ গুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে পিটি গন্ডগোল এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। একটি বাচ্চার যখন পেটে কিছু সমস্যা এবং বমি বমি ভাব দেখা দেবে তাহলে প্রাথমিকভাবে বুঝতে হবে যে বাচ্চার দাঁত উঠতে পারে। আবার সামান্য জ্বর হওয়াও বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ। শিশুদের দাঁত ওঠার সময় দাঁতের মাড়ি অত্যন্ত শক্ত হয়ে যায়। এটিও দাঁত উঠার লক্ষণের মধ্যে পড়ে। বাচ্চাদের দাঁতের মাড়ি সুড়সুড় করে এবং যে কোন জিনিস কামড়াতে থাকে। একটি শিশুর মধ্যে এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে বুঝতে পারবেন যে তার দাঁত উঠতে পারে। এগুলো হলো একটি শিশুর দাঁত ওঠার লক্ষণ।
আরো পড়ুনঃ দাঁত ফাঁকা হওয়ার ১০টি কারণ ও ০৫টি প্রতিকার
আবার বাচ্চার খাবারে অরুচি হওয়া দাঁত ওঠার অন্যতম একটি লক্ষণ। বাচ্চার যখন দাঁত উঠবে তখন সে কোন খাবারই ভালোমতো খেতে চাইবে না। দাঁত ওঠার সময় মুখ থেকে বেশি লালা ক্ষরণ হবে যেটা অন্য সময় ছিল না। আর দাঁত ওঠার আরেকটি লক্ষণ হল বাচ্চার সব সময় কান্না করবে কোন কিছুতেই স্বস্তি বোধ হবে না। এ লক্ষণগুলো একটি বাচ্চার মধ্যে দেখতে পেলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এগুলোই হল দাঁত ওঠার লক্ষণ। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার আরেকটি লক্ষণ হল রাতে বারবার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া। কারণ দাঁতের মাড়ি একটু ব্যাথা ব্যাথা হবে যার দরুন শিশু রাতে ঘুমাতে পারবে না। এই লক্ষণগুলো একটি শিশুর মধ্যে প্রকাশ পেলে বুঝতে হবে শিশুর দাঁত উঠবে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময়
শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময় সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। শিশুর দাঁত ওঠার সময় সম্পর্কে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু শিশুর দাঁত খুব তাড়াতাড়ি উঠে আবার কিছু শিশুর দাঁত উঠতে অনেক দেরি হয়। তাই আমরা শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময় নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করে থাকি। একটি শিশুর জন্মের ছয় মাস পর থেকে একটি দুটি করে দাঁত উঠতে থাকে। মূলত শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময়েই হল ৬ মাস বয়স থেকে। শিশু অবস্থায় একটি দুটি করে মোট বৃষ্টি দাঁত দৃশ্যমান হয়। আবার নানারকম জটিলতার কারণে ছয় মাস বয়সের শিশুর দাঁত নাও উঠতে পারে।
এতে টেনশনের কিছু নেই। এই সময়সীমা কারো ক্ষেত্রে একটু বেশিও লাগতে পারে। জেনেটিক কারণ কিংবা নানা রকম দুর্ঘটনার জন্য এই সময়সীমা একটু পিছিয়ে যেতে পারে। তবে ছয় মাস বয়স থেকেই শিশুর দাঁত উঠতে শুরু করে। তবে এই সময় সীমা যদি ১৮ মাসের বেশি হয়ে যায় তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত জটিলতা না থাকলে এত সময় প্রয়োজন হয়না দাঁত ওঠার জন্য। মোটামুটি ছয় থেকে আট মাসের মধ্যেই একটি দুটি করে শিশুর দাঁত দৃশ্যমান হতে থাকে।
শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয়
শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয় কি এখন আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানব। শিশুর দাঁত না ওঠার জন্য আমরা অনেকেই নানা রকম টেনশনে পড়ে যাই। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয় কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। শিশুর দাঁত না ওঠা বলতে দেরিতে ওঠার কথা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ শিশুর দাঁত দেরিতে উঠলে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। শিশুর দাঁত মূলত না ওঠার একটি প্রধান কারণ হতে পারে বংশগত জেনেটিক সমস্যা। বংশগত এই জেনেটিক সমস্যার জন্য শিশুর দাঁত না উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার করণীয় হলো একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে শিশুর চিকিৎসা করা। একজন ডেন্টিস্ট যে পরামর্শ দিবেন সেই অনুযায়ী একটি শিশুকে চিকিৎসা করালে শিশুর দাঁত তাড়াতাড়ি উঠবে।
তাছাড়া বিভিন্ন রকমের অপুষ্টির অভাবে একটি শিশুর দাঁত না উঠতে পারে অথবা দেরিতে উঠতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন শিশুকে সবসময় পুষ্টিকর খাবার খেতে দেওয়ার জন্য। এতে করে শিশুর তাড়াতাড়ি উঠবে। বিশেষ করে ভিটামিন খনিজ লবণ এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বেশি খেতে দিতে হবে শিশুর দাঁত ওঠার জন্য। এটি আপনার প্রাথমিক করণীয়। দাঁত যেহেতু একটি ক্যালসিয়ামের গঠন তাই চেষ্টা করবেন শিশুকে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে দিতে। এতে শিশুর তাড়াতাড়ি উঠতে ভূমিকা রাখবে। এগুলোর অভাব হলে শিশুর দাঁত উঠতে দেরি হয়ে যায়। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয় কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
শেষ কথা | শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয়
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শিশুর দাঁত না উঠলে করণীয় কি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার এতটুকুও উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাদেরও এই বিষয়টি জেনে রাখা প্রয়োজন। আর নিত্য নতুন এরকম আপডেট খবর সবার আগে পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ। @25155
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url