ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম - মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ কত নম্বর সেক্টরে ছিল

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম বীরত্বগাঁথার সাথে ইতিহাসে রয়েছে। এই পোস্টে ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম গুলো তুলে ধরা হবে। ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধ জয়ের স্বাধীনতার স্বাদ এনে দেয় এবং ইতিহাসের পাতায় মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের স্বাক্ষর রাখে।
ময়মনসিংহ জেলার প্রথম যুদ্ধ শুরু হয়েছিল খাগডহর ইপিআর ক্যাম্পের মাধ্যমে এবং এই যুদ্ধে সাধারণ সৈনিকরাই মূলত যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছেন। প্রতিটি মুহূর্তে তারা জীবনের পরোয়া না করে জীবন বাজি রেখে নেতৃত্ব দিয়ে গিয়েছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের কাছে পরাজয় বরণ করে নেয় তা ইতিহাসে বীরত্বগাঁথা হয়ে রয়েছে।

একাত্তরে ময়মনসিংহে প্রথম যুদ্ধের ইতিহাস

একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামে ময়মনসিংহের নাম ইতিহাসের পাতায় বীরত্বের অবদান রেখেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে ময়মনসিংহ জেলায় সুপ্রাচীন একটি ইতিহাস হয়ে আছে। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন ২৭ মার্চ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সূচনা হয়।

এই দিনেই ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম এর ইপিআর ক্যাম্প ফায়ার হয়েছিল। সারারাত যুদ্ধের পরে অর্থাৎ ইনচার্জ মেজর কমর আব্বাসসহ আরও অনেক রেজিমেন্ট এর সদস্য সেই দিন শহীদ হয়েছিল। আরও অনেকের মধ্যে দেলোয়ার আবু তাহের ও আনোয়ার সহ আরও কিছু সদস্য শহীদ হয়।

ময়মনসিংহের খাগডহর ইপিআর ক্যাম্পের যেই যুদ্ধ হয়েছিল, সেটি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তিযুদ্ধের প্রথম যুদ্ধ ছিল। ময়মনসিংহ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ কত নম্বর সেক্টরে ছিল এর বিশ এপ্রিল পর্যন্ত তারা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই অঞ্চলটি শত্রু সেনাদের দখলে চলে আসে।

খাগডহর ইপিআর ক্যাম্পের যুদ্ধে সাধারন যেই সৈনিকগণ ছিল তারা এই যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিল। জীবন বাঁচিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করেছিল। এই এলাকার স্থানীয় যেই সকল ছাত্র জনতা ছিল তাদের অবদান ছিল অনেক। ময়মনসিংহের বেশিরভাগ অংশ এগারো নম্বর সেক্টরের অধীনে পরিচালিত হতো।


২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু যখনই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল, ময়মনসিংহের যুদ্ধ তখন থেকে আরও প্রফুল্ল ভাবে শুরু হয়ে যায়। পরের দিন ২৭ মার্চ রাতে আঠারো ঘণ্টা ব্যাপী এক বিশাল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম ইতিহাসের পাতায় সংরক্ষণ করে লেখা থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিল এক কৃতি সন্তান। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তার প্রভাব ছিল অনেক বেশি। এরপর থেকে ধীরে ধীরে আলবদররা শান্তি কমিটি গঠন করে। বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, ধর্ষণ ও গণহত্যা চালায়।

এরপর ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদীর কাছে অর্থাৎ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর পিছনে বদ্ধভূমিতে এক গণহত্যা চালায়। যার ফলে হাজার মানুষ সেখানে শহীদ হয়েছিল। ব্রহ্মপুত্র নদী তখন রক্তে লাল হয়ে ভাসছিল। একাত্তরের একুশে এপ্রিল থেকে ময়মনসিংহ ধীরে ধীরে শত্রুমুক্ত এলাকা হতে শুরু করে। 

ধীরে ধীরে ময়মনসিংহ অঞ্চল মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই পরাজয় বরণ করে নিতে শুরু করে। সাত ডিসেম্বর থেকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা মুক্ত হয়ে ঠিক তিনদিন পর থেকে দশ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ শত্রুমুক্ত হয়।

ময়মনসিংহ জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা

ময়মনসিংহ জেলায় বেশিরভাগ মুক্তিযুদ্ধা শহীদ হয়েছিল যারা শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে আজও অক্ষয় হয়ে আছে। জাতির বীর সন্তানেরা বাঙালি জাতির জন্য অহংকার। ময়মনসিংহ জেলাতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অনেকেই শহীদ হয়েছিল।

সেই সময়কার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা রয়েছে। ময়মনসিংহ উপজেলার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা তুলে ধরা হলো -

১। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে এই মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় রয়েছেন। যাদের মধ্যে আবদুর রশিদ, ইদ্রিস আলী, চান মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম।

২। এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম আব্বাস আলী, আজগর আলী, আলিম উদ্দিন, আলী নেওয়াজ, ফয়েজ উদ্দিন, নুরুল আমিন, মকবুল হোসেন, নিজাম উদ্দিন, হাবিলদার মকবুল হোসেন, শাহজাহান আলী রয়েছে।

৩‌। বীর মুক্তিযোদ্ধা এর মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ কত নম্বর সেক্টরে ছিল ওসমান গণি, জহুরুল ইসলাম, আশরাফ আলী, সিপাহী নজীব উল্লাহ এবং তালেব আলী সহ আরও অনেকে।

৪। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সালাহউদ্দিন মমতাজ সহ প্রায় চল্লিশ জন এর মত শহীদ এবং আব্দুল মান্নান, হাফিজ উদ্দিন সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ এই যুদ্ধে আহত হয়।

৫। মধুপুর এবং গফরগাঁও হয়ে ময়মনসিংহে বিমান হামলা করে পাক সেনারা। যার কারণে ময়মনসিংহ শহরের জনগণ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়।

৬। পাকিস্তানি বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে এই গোলাগুলির মধ্য দিয়ে নিরীহ শরণার্থীদের অকাতরে হত্যা করতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধাদের হাইড আউটে যখন আক্রমণ চালায়, তখন ময়মনসিংহ শহরের কৃষ্টপুরের আব্দুল মতিন শহীদ হয়।

৭। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম বিমান বাহিনীর সদস্য আশফাক এবং জৈনিক এমপির সহোদর নিজাম উদ্দিন নিহত হয়। এই যুদ্ধে বিডিআর সদস্য ছাড়াও আরও অনেকে অংশগ্রহণ করেন।

আবুল হাসেম, নুরুল ইসলাম, লিয়াকত আলী, জিয়াউল ইসলাম সহ আরও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগণ অংশগ্রহণ করেন। এখানে বিএসএফ সুবেদার ত্রিপাল সিংসহ নয় জন সদস্যকে পাকিস্তানী বাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আবু তাহের ছিলেন একজন। কয়েক দফা চেষ্টার পর মেজর আবু তাহের, মেজর জিয়াউদ্দিন, ক্যাপ্টেন পাটোয়ারী, এবং মেজর এম এ মঞ্জুর সপরিবারে পাকিস্তান থেকে তারা পালিয়ে ভারতে চলে আসেন।

তখন তারা দিল্লিতে পৌঁছে মেজর আবু তাহের সহ বাকিরা কর্নেল ওসমানের নির্দেশে মেঘালয়ের তুরায় থেকে মেজর আবু তাহের যান। এই সময়ে মুক্তিবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর কমান্ডে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। সেই সময়ে প্রথম যেই বড় অপারেশন হয়েছে।

সেটি সরাসরি পাকিস্তানের বড় ঘাটিতে যেয়ে পড়ে। এই সময় মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ কত নম্বর সেক্টরে ছিল এর নায়েব সুবেদার সিরাজের নেতৃত্বে ইতিহাস সেনা ও গণবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা মিলে কামালপুর বিওপি আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এই আক্রমণে তারা যদিও সফল হতে পারেনি।


কিন্তু এই অবস্থায় বেঙ্গল এর ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিল। মেজর আবু তাহেরের নেতৃত্বে এই চ্যালেঞ্জিং এবং বিপদজ্জনক ঘাঁটি আক্রমণের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আবু তাহের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অনেক সেনাকে নিহত করে।

এই এলাকাটি কোন সেক্টরের অধীনে ছিল না। কিন্তু মেজর তাহের কর্নেল ওসমানের কাছে একটি সেক্টরে পরিণত করার আবেদন করা হলে তিনি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন। ময়মনসিংহ জেলার আওতাধীন এলাকা ছিল তখন কিশোরগঞ্জ মহকুমা। পরবর্তীতে একের পর এক অপারেশন চালিয়ে যান।

প্রথমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ময়মনসিংহ জেলার আপামর জনতা রামচন্দ্রপুরা সীমান্ত ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়ে পাক সেনাদের হটিয়ে সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছিল।

এই সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিল। যাদের মধ্যে লিয়াকত আলী, নুরুল ইসলাম, জিয়াউল ইসলাম, লিয়াকত আলী, আবুল হাসেম, মোঃ সেলিম সাজ্জাদ এবং কৃষ্টপুরের আব্দুল মতিন শহীদ হন।

মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ কত নম্বর সেক্টরে ছিল

মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ এগারো নম্বর সেক্টর থাকার কারণে সেই সময়ের কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম ময়মনসিংহ এর সেক্টর সম্পর্কে তথ্য হলো -
  • মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ কত নম্বর সেক্টরে ছিল জেনে কিশোরগঞ্জ বাদ দিয়ে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা নিয়ে এই সেক্টর গঠিত হয়।
  • ১৯৭১ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান ছিলেন।
  • নভেম্বর পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু তাহের।
  • এরপর যেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন অর্থাৎ উইং কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম হামিদুল্লাহ খান।
  • পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলার এই সেক্টরকে সাতটি সাব সেক্টর ভাগে ভাগ করা হয়েছিল।

বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি বীরত্বগাঁথা রয়েছে। এই সময়ে আমীন আহম্মেদ চৌধুরী ছিলেন অষ্টম ইস্টবেঙ্গল এর আলফা কোম্পানির কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য বীরত্বের জন্য তাকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।

আমীন আহমেদ চৌধুরী ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সিভিল অ্যাভিয়েশনের অধীনে বিমান চালনার প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য তাকে ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে হাজির করানো হয়। ব্রিগেডিয়ার মাহমুদুর রহমান মজুমদারকে হেলিকপ্টারে করে পাঠানো হয়।


পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে সিনিয়র বাঙালি অফিসার ব্রিগেডিয়ার এম আর মজুমদারকে ঢাকায় আনা হয়। হেলিকপ্টারে করে এরপর দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গলের বাঙালি সেনাদের পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের সেরা অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন। তখনই তারা বুঝতে পারেন পরিস্থিতি সুবিধাজনক নয়।

আর মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ কত নম্বর সেক্টরে ছিল তখন ক্যাপ্টেন আমীন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম আর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম এবং মেজর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার কারফিউর মধ্যেই ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে পৌঁছে পরিস্থিতি সম্পর্কে সবকিছু অবগত করেন।

বৃষ্টির মত গোলাগুলিতে বিওপি তখন মরদেহে পূর্ণ। ক্যাপ্টেন আমীন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার অপরাধের কারণে ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম আমীন আহম্মেদ চৌধুরীর পরিবারের নয় জনকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহের আফসার বাহিনী

মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের আফসার বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। এই সময়ে ভালুকা এলাকায় এক বিশাল বাহিনী গড়ে উঠেছিল এই আফসার বাহিনীর সম্পর্কে বিস্তারিত যেমন,
  • বেঙ্গল সুবেদার মেজর অফ আফসার উদ্দিন আহমেদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
  • এই আফসার উদ্দিনের নামেই এই বাহিনী অস্ত্র সংগ্রহ এবং প্রশিক্ষণ দেশের ভেতর করতে পেরেছিলেন।
  • শত্রুর কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে পারেন।
  • এই আশার বাহিনী ভালুকা ত্রিশাল ফুলবাড়ীয়া গফরগাঁও শ্রীপুর জয়দেবপুর মির্জাপুর কালিয়াকৈর সহ বেশ কিছু অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল।
  • তাদের বীরত্বের জন্য আফসার উদ্দিন অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিলেন।
  • আফসার উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের নিজ সন্তানকে হারিয়েছিলেন।
  • এরপর তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
  • মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ কত নম্বর সেক্টরে ছিল জেনে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভালুকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
  • মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মল্লিক বাড়ি গ্রামে আফসার উদ্দিন একটি ব্যাটালিয়ন গঠন করেন।
  • তিনি ভারতের কোনরকম সাহায্য ছাড়াই চার হাজার পাঁচশত অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধার এক বিরাট বাহিনী গড়ে তুলতে সক্ষম ছিলেন।
  • ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম এর মধ্যে বাহিনীতে স্থানীয় জনতা ও ছাত্র সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।
  • পাশাপাশি আনসার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর লোক ও ছিল।
  • সেনাবাহিনীর পরিপূর্ণ কায়দায় এই বাহিনী পরিচালনা করা হতো।
  • এই ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক ছিলেন মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ।
  • আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য তিনি একটি হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
  • মুক্তিযুদ্ধে আবসার বাহিনীর নাম ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
  • বাহাত্তরের ফেব্রুয়ারি মাসে সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে আবসার বাহিনী প্রায় চার হাজার অস্ত্র সমর্পণ করেন।
  • মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি আফসার উদ্দিন মানুষ হিসেবেও এলাকায় ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়।

উপসংহার

এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম, মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ কত নম্বর সেক্টরে ছিল, মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহের আফসার বাহিনী এর অবদান এবং বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযুদ্ধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বিস্তারিত ভালো লাগলে পোস্টের নিচে মন্তব্য করে পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url