সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার

আপনি কি সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার জানেন? যদি না জানেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজ আমি এই আর্টিকেলে সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যখন সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার এ বিষয়ে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবেন তখন আপনি নিজে থেকেই অনেকটা সচেতন হতে পারবেন।
সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার
সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার এ সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার এ বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার

সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার

আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করব। সাইনোসাইটিস এমন একটি অসুখ যা বেশিরভাগ মানুষেরই হয়ে থাকে। সাইনোসাইটিস রোগের লক্ষণসমূহ মাথার সামনের দিকে ব্যথা করবে, মুখমণ্ডল ব্যথা করবে, নাক দিয়ে পানি পড়বে, নাকের মধ্যে থাকা সর্দি হলুদ হবে এবং তা থেকে দুর্গন্ধ হয়ে বের হবে। ঠান্ডা লাগার কারণে সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে, এলার্জি থেকেও সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে।

নাকের ভিতর মাংস বাড়ার কারণে পলিফ হয়ে থাকলেও সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে। সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আঘাত লাগলে সেখান থেকেও ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস এর সমস্যা হয়ে থাকে। দাঁতের মাড়ি শেষের দাঁত চিকিৎসা জনিত কারণে ইনফেকশন হয়ে থাকলে সেখান থেকেও সাইনাসের সমস্যা হয়ে থাকে। সাইনোসাইটিস হলে মাথার সামনের দিক থেকে চোখ সহ মুখের দিকে এই ব্যথাটা ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং মুখের সামনে একটা ভার ভার মনে হবে। 

সর্দি লেগে থাকা, ঘন ঘন হাঁচি হাওয়া, ঠান্ডা লাগা, নাক বন্ধ হয়ে থাকা, নিশ্বাস নিতে সমস্যা সাইনোসাইটিস হলে এ সমস্ত সমস্যা দেখা দেয়। অনেক দিনের সাইনোসাইটিসের সমস্যা হয়ে থাকলে নাকের ঘ্রাণ শক্তি কমে যায়। সাইনোসাইটিস হয়ে থাকলে গরম পানির সঙ্গে মেন্থলের ভাব নিলে প্রতিকার পাবেন গরম কাপড় নাকের এপাশে ওপাশে ধরলে আরাম পাওয়া যায়। 

গরম খাবার খেতে হবে, গরম পানিতে গোসল করতে হবে, গরম পানি খেতে হবে, ধুলাবালি এড়িয়ে থাকতে হবে, বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে, পরিষ্কার কাপড় চোপড় পরতে হবে। আপনি যদি সাইনোসাইটিসে ভুগেন তাহলে এ সমস্ত নিয়মের মধ্যে আপনি থাকলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

সাইনোসাইটিস হলে করনীয়

আমাদের শরীরে নাকের দুই পাশে ফাঁপা হাড় থাকে এই হাড়ের ফাঁপা অংশগুলোকে সাইনাস বলে। আমাদের নাকে যখন সর্দি হয় তখন সর্দিগুলো না ঝেড়ে আমরা উপরের দিকে টেনে নেই তখন সর্দিগুলো সাইনাসের ভিতর জমে যায় এর থেকে ইনফেকশন হয়েই  সাইনোসাইটিস হয়। 

আরো পড়ুনঃ কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান - কক্সবাজার জেলার ৬০টি দর্শনীয় স্থান

আসুন তাহলে জেনে নিই সাইনোসাইটিস হলে আমরা কি করব। প্রথমে আমরা ধুলাবালি থেকে দূরে থাকবো বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করব, ঠান্ডা জাতীয় খাবার ঠান্ডা লাগা থেকে বিরত থাকবো, গা ঘেমে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব  মুছে ফেলবো, রোদে বা ঠান্ডায় গেলে সাইনোসাইটিসের সমস্যা হয় এর জন্য আপনাকে অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে সাইনোসাইটিস হলে করনীয় আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

সাইনোসাইটিস কেন হয়

আজি আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে সাইনোসাইটিস কেন হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের নাকের চারিপাশে ফাঁপা হাড় থাকে হাড়ের ফাঁপা অংশগুলোকে সাইনাস বলে। নাকের মধ্যে সর্দি হলে আমরা না ঝেড়ে উপরের দিকে টেনে নিই এই জমে থাকা সর্দি থেকে ইনফেকশনের কারণে সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে আবার ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস বা এলার্জির কারণ ও সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা

দীর্ঘদিন ঠান্ডা লাগার কারণ ও সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে, নাকের ইনফেকশন, দাঁতের ইনফেকশন, নাকের পলি, নাকের বাঁকা হাড়, দাঁত, চোখ, নাকের অসুখ থেকেও সাইনোসাইটিস হতে পারে। সাইনোসাইটিস যে কোন বয়সে হয়ে থাকে তবে কম বয়সীদের মধ্যেই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। আর্টিকেলটির এ পর্যায়ে আপনি নিশ্চয়ই সাইনোসাইটিস কেন হয় এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে তথ্য পেয়ে গেছেন।

সাইনোসাইটিস বলতে কি বুঝায়

সাইনোসাইটিসের সমস্যায় প্রচুর মানুষ ভুগে থাকেন। সাইনোসাইটিসের সমস্যায় কিভাবে ভাল থাকা যায় সেটা না জানার কারণে বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যায় সারাজীবন ভুগে থাকেন। আসুন তাহলে জেনে নিন সাইনোসাইটিস বলতে কি বুঝায়। সাইনাস হচ্ছে আমাদের নাকের দুপাশে এবং কপালের দুপাশে ফাঁপা থাকা হাড়কে বোঝাই। 

আরো পড়ুনঃ মাঘী পূর্ণিমা ২০২৩ কবে - মাঘী পূর্ণিমা ২০২৩ কি সরকারি ছুটি

এই ফাঁপা অংশ গুলোকে এয়ার সাইনাস বা সাইনোসাইটিস বলে। সর্দি থেকে ইনফেকশন এর কারনে সাইনোসাইটি হয়ে থাকে। সাইনোসাইটিস হলে মাথা ব্যথা হবে, মাথা ভার হয়ে থাকবে, কাজ করার সময় নিচে ঝুঁকে কোন কাজ করলে মাথা ব্যথা বেশি হবে, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হবে, কাজে অমনোযোগী হবে, মেজাজ খিটমিটে হয়ে থাকবে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই সাইনোসাইটিস বলতে কি বুঝায় এবং সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার এ বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন।

উপসংহার

পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করবো যে আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকালের মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের কারণ ও প্রতিকার সহ সাইনোসাইটিস এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছি আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনার কাঙ্খিত তথ্যটি পেয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url