বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে
পোস্ট সূচিপত্রঃ বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে
- বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে
- বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয়
- বজ্রপাতে কেন এত মানুষ মারা যায়
- পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় কোথায়
- উপসংহার
বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে
আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বজ্রপাত বা বজ্রঝড় এটা হচ্ছে প্রাকৃতিক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা মহান আল্লাহ প্রাকৃতিক ভাবে নিয়ম নির্ধারণ করেছেন। পবিত্র আল কুরআনে মহান আল্লাহতালা বজ্রপাত সম্পর্কে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা আমরা সবাই জানি। এই বজ্রঝড় বা বজ্রপাত মহান আল্লাহ তাআলার মহা শক্তিশালী এক সামান্য নির্দেশন।
বজ্রঝড় ও বজ্রপাতের আলোর ঝলকানি পৃথিবীর মানুষের জন্য খুবই সতর্কবাণী। আল্লাহ ইচ্ছা করলে শাস্তি দিতে পারেন বজ্রপাতের মাধ্যমে। মহান দয়ালু সৃষ্টিকর্তা সব ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে যদিও এরকম করেন না। আমরা শুনে এসেছি যে মেঘের সঙ্গে মেঘের ঘর্ষণের কারণে বজ্রপাত হয় কিন্তু এটা ঠিক না। আসুন তাহলে জেনে নিই বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে এই সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের একটি সূরায় নামকরণ করেছেন সূরা রাহাত।
এই নামের অর্থ মেঘের গর্জন বা বর্জ্যপাত। রাদ আল্লাহর একজন ফেরেশতা যাকে মহান আল্লাহ তালা বৃষ্টি দেওয়ার কাজে নিয়োজিত করেন। এই সূরাতে মহানআল্লাহ তালা ভয় ও শাস্তির কথা বলেন তিনি তোমাদের বিদ্যুৎ, বিজলী, ঘন মেঘমালা দেখান ভয়ের জন্য। মহান আল্লাহতালা উক্ত আয়াতে বলেছেন আকাশে তিনি বিদ্যুতের ঝলকানি দেখান এটা মানুষের ভয়ের কারণ হতে পারে এজন্য এটা যে জায়গায় পড়বে সেই জায়গা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে আরো জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আবার অপরদিকে এটা একটা ভালো দিক বিদ্যুৎ চমকানোর ফলে বৃষ্টি হবে এবং গবাদি পশু, গাছপালা, বৃক্ষ, সবাই পানি পাবে। মেঘ, বৃষ্টি, বজ্রপাত এগুলো সবই আল্লাহর করা সৃষ্টি প্রাকৃতিক উপাদান এগুলো দ্বারা আল্লাহ দুনিয়াতে পরিবেশের সৌন্দর্য বজায় রাখে পশুপাখি ও মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করেন এবং বজ্রপাতের দিয়ে পাপিষ্ঠদের শাস্তি দেন এ কথা পবিত্র আয়াতে বলেছেন।
এভাবে আল্লাহ চাইলে যে কাউকে ধ্বংস করতে পারেন। আবার কাউকে রক্ষা করলে কেউ তার ক্ষতি করতে পারবে না এবং মহান আল্লাহ চাইলে কাউকে ধ্বংস করলে কেউ তাকে রক্ষা করতে পারবে না। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে এ বিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন এবং আপনি বুঝতে পেরেছেন।
বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয়
আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। মহান আল্লাহ তা আলার সৃষ্টি ও প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে বজ্রপাত। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে তার ভিতরে একটি হচ্ছে বজ্রপাত অন্যতম এটি সুন্দর আতঙ্ক এবং রহস্যময়। প্রতিবছর বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষ মারা যায়।
মেঘের মধ্যে যখন অনেক ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস আর অপেক্ষাকৃত গরম ও জলীয় বাষ্প এক হয় তখন বরফের কুচি এবং নরম শিলা তৈরি করে, বাতাসের ধাক্কায় বরফের কুচি এবং শিলার মধ্যে ঘর্ষণের কারণে বরফের কুচিতে ধনাত্মক এবং বরফের সিলাই ঋণাত্মক চার্জ তৈরি করে এছাড়া মেঘের উপরের দিকে ধনাত্মক ও মেঘের নিচের দিকে ঋণাত্মক চার্জ জমা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ রুম হিটার দাম ২০২৩ - রুম হিটার প্রাইস 2023 বাংলাদেশ
বিদ্যুতের এই চার্জ উচ্চ চার্জ নিম্ন চার্জের দিকে যাই এর মধ্যবর্তী স্থানে কোন পরিবাহী না থাকার কারণে সহজে এটা আদান-প্রদান হয় না। ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক চার্জের মধ্যবর্তী স্থানে থাকে বাতাস জানামতে বাতাস বিদ্যুৎ অপরিবাহী। চার্জ যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন প্রতি সেন্টিমিটারে ৩০ হাজার ভোল্টের বেশি হয় এবং সেটি বাতাসের অপরিবাহিতায় চার্জ চির ধরায়।
বিশাল পরিমাণের ওই চির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যায় এই চার্জ ছুটে যাওয়াকে বিদ্যুৎ চমকানো বা বজ্রপাত বলে। এই বজ্রপাত থেকে যে তাপমাত্রা তৈরি হয় সেটি হল ৩০ হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস যা সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা চাইতেও বেশি হয়। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয় এ বিষয়ে পরিষ্কার একটি ধারণা পেয়েছেন।
বজ্রপাতে কেন এত মানুষ মারা যায়
আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে বজ্রপাত কেন এত মানুষ মারা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২০০ টার বেশি মানুষ মারা যায় বজ্রপাতে। এখন পর্যন্ত ২০২১ সালে বজ্রপাতের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ২৮২ মেঘের ভিতর থাকা ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস এবং অপেক্ষা কৃত গরম ও জলীয় বাষ্পের ভর্তি বাতাসের মিশ্রণের কারণে বরফের কুচি ও নরম শিলার উৎপন্ন হয়।
আরো পড়ুনঃ বিছানায় প্রস্রাবের ১২টি চিকিৎসা - বিছানায় পেশাব বন্ধ করার দোয়া
বজ্রপাতে সাধারণত কৃষক বেশির ভাগ মারা যায় এর কারণ হচ্ছে আগে মাঠ ঘাটে প্রচুর পরিমাণে উঁচু গাছ যেমন তাল, নারিকেল, বট এ জাতীয় গাছ দেখা যেত এবং সে গাছগুলো বজ্রপাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতো গাছগুলো নিজের উপরই বজ্রপাত নিয়ে নিতো। এখন গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে বজ্রপাতে অনেক প্রাণহানি ঘটছে।
এছাড়াও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য, নদী নালা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বজ্রপাতে কেন এত মানুষ মারা যায় এবং বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে সে বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় কোথায়
আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় কোথায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বজ্রপাত হচ্ছে মহান আল্লাহতালার সৃষ্টি প্রাকৃতিক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পৃথিবীতে অনেক দুর্যোগ ঘটে থাকে তার ভিতরে অন্যতম হচ্ছে বজ্রপাত বজ্রপাতের কারণে প্রতিবছর প্রায় অনেক মানুষ মারা যায়, ফসলের ক্ষতি হয়, বাড়ি ঘর, পুড়ে যায় বজ্রপাতের কারণে।
আরো পড়ুনঃ চুল ঘন করার উপায় ৭ দিনে - চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
আসুন তাহলে জেনে নিই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত কোথায় হয়। বর্তমানে পৃথিবীতে ২০০৪ থেকে ৫ সালের তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় ভেনেজুয়েলার মারাকাইবো হ্রদে। যা প্রতি এক বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ২৩০ টি বজ্রপাত হয়ে থাকে যা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় কোথায় এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।
উপসংহার
পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করবো যে আমি আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বজ্রপাত কেন হয় ইসলাম কি বলে এ বিষয়ে সহ বজ্রপাতের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করেছি আশা করি তথ্যগুলো আপনাদের বেশ উপকারে আসবে।
আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url