যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা
আপনারা কি যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা সম্পর্কে জানেন। যদি আপনারা না জেনে থাকেন তাহলে যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা গুলো জেনে নিন। আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়েন তাহলে আপনারা যশোর পৌরসভার মেয়র এর সকল তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা জেনে নেই।
বর্তমানে যশোর পৌরসভা এটি সিলেট বিভাগের যশোর জেলার ক শ্রেণীর পৌরসভা। যারা যশোর পৌরসভায় বসবাসের জন্য যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা সম্পর্কে কিছু ধারনা থাকা দরকার।
পোস্ট সূচিপত্রঃ যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা
ভূমিকা
আপনারা নিশ্চয়ই যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। কেননা আমরা আজ আমাদের আর্টিকেলের ভিতরে যশোর পৌরসভার সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা যারা যশোর পৌরসভার এবং যশোর জেলার ও যশোর পৌর শহরের নাগরিক তাদেরকে অবশ্যই সেই জেলা এবং পৌরসভা এবং পৌরসহ সম্পর্কে সকল জ্ঞান থাকা আবশ্যক। এজন্য আপনাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে আপনাদের নিজ এলাকার এবং নিজ শহরের সকল তথ্য জেনে রাখা।
কোন জেলার সীমানা কতদূর পর্যন্ত এবং কোন পৌরসভার সীমানা কতদূর এর আয়তন কত এবং এর ভোটার তালিকা কত সেই সম্পর্কে জ্ঞান রাখা একটি নাগরিকের কর্তব্য। কারণ তার অধিকার এবং নাগরিকত্ব ভোগ করার জন্য তাকে এই সকল বিষয়ে জ্ঞান থাকা উচিত তাহলে তার পৌরসভা এবং পৌরসহরের সকল দায়িত্বগুলো গ্রহণ করতে এবং আপনার প্রতি যে তাদের কর্তব্য আছে সেটি প্রকাশে সাহায্য করবে।
যশোর পৌরসভার মেয়র
যশোর পৌরসভার মেয়র হচ্ছে হায়দার গনি খান পলাশ । যে ৩১ শে মার্চ দিনভর রাত্রে ভোট গণনার পর ফল প্রকাশে সে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছে। এবং হায়দার গণি খাল পলাশ ৩২ হাজার ৯৪০ টি ভোট পেয়েছেন। এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী দল মোহাম্মদ আলী সর্দার ১২ হাজার ৯৪৭ টি ভোট পেয়ে কোন জয়লাভ করতে পারেনি। এবং বিএনপি মারুফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩০২ টি ভোট সেও যশোর পৌরসভার মেয়র হতে পারেনি। এবং হায়দার গণি খানের বিরুদ্ধে ৬৩ টি প্রার্থী দাঁড়িয়েছিল তার মধ্যে হায়দার গনি খান যশোর পৌরসভার মেয়র হয়েছিল।
এবং যশোর পৌরসভা বিএনপি মারুফুল ইসলাম শাসন তন্ত আন্দোলন ইসলামিক হিসেবে তিনি হাতপাখা পথিকের দাঁড়ায় এবং মোহাম্মদ আলী সরদার তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবং ধানের শীষের প্রার্থী ১৮ই মার্চ ঘোষণা করার পর তিনি নির্বাচন থেকে সরিয়ে দাড়াই। যশোর পৌরসভার পঞ্চম নির্বাচনের ধাপে২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভায় ভোট গ্রহণের কথা ছিল। এবং জটিল মামলায় আদালতে ৯ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচন স্থগিত হয়ে পরবর্তীতে ৩১ শে মার্চ ভোট গ্রহণে নতুন তারিখ তারা নির্বাচন করে দেয় এবং সে তারিখে হায়দার গনি খান পলাশ যশোর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়।
যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা
যশোর পৌরসভায় যশোর এর শহরের কয়েকটি এলাকা যুক্ত হয়ে আয়তনের দিক দিয়ে বেড়ে গেল। তারা যশোর পৌরসভার সীমানা বাড়ানোর জন্য কার্যক্রমের ওপর কোন আপোষ না করে স্থানীয় সরকারের মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রকাশ করেছে গেজেট। এর ফলে যশোরের প্রায় ৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বেড়ে যায়। সম্পূর্ণ উপশহর এর ইউনিয়ন যুক্ত হয়েছে এই যশোর পৌরসভায়। যে সকল ইউনিয়নগুলো পৌরসভার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, রামনগর, ফতেপুর, নওয়াপাড়া আরবপুর ইত্যাদি এই সকল ইউনিয়নগুলো পৌরসভার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সুত্রানুসারেপাওয়া যায় যে, ২৪ শে আগস্ট ২০১৯ ১৯ সালে যশোর পৌরসভার সীমান্ত বাড়ানোর জন্য সর্বপ্রথম একটি গেজেট প্রকাশিত করা হয়।
আরো পড়ুনঃ বিকাশে ভুলে টাকা চলে গেলে করনীয় কি তা জানুন
এই পৌরসভার সীমান্ত বাড়িয়ে অনেক বড় হচ্ছে পৌরসভার আয়তন। বর্তমানে যশোর পৌরসভার আয়তন হচ্ছে ১৪ বর্গ কিলোমিটার এর একটু বেশি। পৌরসভার বর্তমান সীমানা হচ্ছে ১৪.৭২ কিলোমিটার এর সঙ্গে ৭ কিলোমিটারের একটু বেশি বাড়ার ফলে ২২ কিলোমিটার হয়ে যায়।
যশোর পৌরসভার ভোটার তালিকা
গতবছর সর্বপ্রথম যশোরে এবং কেশবপুর পৌরসভায় ইলেকট্রিক ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান নির্বাচনে ভোটার তালিকা ছিল এক লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০ জন। এদের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজার ৪৫০ জন। এবং ভোটারের সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার ৫০ জন। বর্তমানে যশোর পৌরসভার আয়তন ছিল ১৪ বর্গকিলোমিটার এর একটু বেশি তবে এর সঙ্গে কিছু এলাকা যুক্ত হয়ে এর আয়তন বৃদ্ধি পায়। এবং এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে এর আয়োজন হয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৪.৭২ বর্গ কিলোমিটার। এবং যশোর পৌরসভা হচ্ছে ক শ্রেণীর পৌরসভা। এজন্য যশোর পৌরসভার আয়তনের যেমনি বড় ঠিক তেমনি এর জনসংখ্যা অনেক বেশি।
তবে অতীতে যশোর পৌরসভার যখন আয়তন বৃদ্ধি হয়েছিল না তখন এর জনসংখ্যা কম ছিল। এখন বর্তমানে আয়তন বৃদ্ধির পরে এর ভোটার তালিকা হয়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৬৩জন।
যশোর পৌরসভার ওয়ার্ড সমূহ
যশোর পৌরসভার ওয়ার্ড হচ্ছে আটটি। যেমন,
- যশোর পৌরসভা যশোর।
- বেনাপোল পৌরসভা যশোর।
- কেশবপুর পৌরসভা যশোর।
- মনিরামপুর পৌরসভা যশোর।
- ঝিকরগাছা পৌরসভা যশোর।
- চৌগাছা পৌরসভা যশোর।
- বাঘেরপাড়া পৌরসভা যশোর।
- নোয়াপাড়া পৌরসভা যশোর।
এই সকল পৌরসভা গুলো হচ্ছে যশোর জেলার আয়ত্তাধীন। তবে এই প্রত্যেকটি পৌরসভার আবার নয়টি করে ওয়ার্ড রয়েছে। যেই ওয়ার্ডের অধীনে রয়েছে তিনটি চারটি করে গ্রাম। এবং একটি পৌরসভার আয়ত্তাধীনে রয়েছে বারটি ১০ টি করে গ্রাম। এছাড়াও প্রতিটি পৌরসভার আয়তন ১০ থেকে ১২ বর্গ কিলোমিটার এবং প্রতিটি পৌরসভার জনসংখ্যা হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ হাজার পর্যন্ত।
তবে বর্তমানে যশোর পৌরসভার আয়তন বেড়ে যাওয়ায় পুরো যশোর পৌর শহরের কিছু অংশ ছাড়া প্রতিটির এলাকা যশোর পৌরসভার আয়ত্তাধীন। এজন্য যশোর পৌরসভার ভোটার সংখ্যা অর্থাৎ এলাকার জনসংখ্যা প্রায় এক লাখের ওপর এবং এর আয়তন সকল পৌরসভার থেকে অনেক বড় বর্তমানে এটি ১৪ বর্গকিলোমিটার এর একটু বেশি এবং এর সঙ্গে কিছু অংশ বেড়ে সাত কিলোমিটার বেড়ে যায় দিয়ে ১৪.৭২ কিলোমিটার এই এলাকা জুড়ে যায়।
চৌগাছা পৌরসভার আয়তন হচ্ছে ১১.৬৯ বর্গ কিলোমিটার। এবং এর জনসংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৩৮ হাজার ৮২২ জন। ও বাঘের পাড়া পৌরসভার আয়তন প্রায় ৩.১২১ বর্গ কিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা সবথেকে কম ১০,১৪১ জন। নওয়াপাড়া পৌরসভার আয়তন হচ্ছে ২৫.১২ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে সবথেকে বড় আয়তনের দিক দিয়ে নওয়াপাড়া পৌরসভা সব থেকে বড় কিন্তু জনসংখ্যা দিক দিয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কম এর জনসংখ্যা হচ্ছে ৮৫,৮৫৭ জন। ঝিকরগাছা পৌরসভার আয়তন হচ্ছে ৯.৪৩ বর্গ কিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার ৮২৫ জন।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সকলেই এতক্ষণে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার পরে নিশ্চয়ই যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। এবং যশোর পৌরসভার নতুন সীমানা ছাড়াও যশোর পৌরসভার ওয়ার্ডসমূহ কয়টি পৌরসভা এবং পৌরসভা মেয়র সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। তবে আপনারা যদি যশোর পৌরসভার নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে এই সকল সম্পর্কে তথ্য থেকে কিছু তথ্যের জ্ঞান রাখা আবশ্যক।
আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক সিমের ২০২৩ সালের সকল অফার জানুন
কেননা এই তথ্যগুলো প্রত্যেকটি নাগরিকের প্রত্যেকটি জেলা ওয়ার্ড এবং পৌরসভা ও পৌরসহর সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। তাহলে সেটার নিজের অঞ্চলে নিজের দায়িত্ব অধিকারের জন্য দাবি করতে পারবে এবং নিজের এলাকার প্রতি তার যে কর্তব্য রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে পারবে। তাই আপনারা অবশ্যই নিজ নিজ জেলার সীমানা আয়তন জনসংখ্যা এবং ওই অঞ্চলের ইউনিয়ন হোক বা পৌরসভা হোক এর মেয়র সম্পর্কে তথ্য তথা জ্ঞান রাখতে হবে। তাহলে সে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গঠিত হবে।@26224
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url